ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি মন্দিরে সিসি টিভির ব্যবস্থাসহ ৪ দাবি হিন্দু মহাজোটের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
প্রতিটি মন্দিরে সিসি টিভির ব্যবস্থাসহ ৪ দাবি হিন্দু মহাজোটের

ঢাকা: দুর্গা পূজায় প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকারি খরচে সিসি টিভির ব্যবস্থা করাসহ দুর্গা পূজায় তিনদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, দ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার জন্য সমান প্রয়োগ করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন কালে সংগঠনটির সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে পাঁচ দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতি নীতি মেনেই দুর্গা পূজা সম্পাদন করতে হয়। দুর্গা পূজার মূল তিনটি দিনই হল সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী। এই উপলক্ষে দিন রাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে পূজা সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু দুর্গা পূজায় মাত্র একদিন সরকারি ছুটি। যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গাপূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। আমরা প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠিয়েছি, কিন্তু তার কোনো সদুত্তর পাইনি।

তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা ও নির্বাচন এই দুটি বিষয় নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ পূজা ও নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের স্থাপনার ওপর আঘাত করা হয়েছে। ২০২১ সালের দুর্গাপূজার আগে এবং বিশেষ করে পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। তাই আমরা চাই, এবারের দুর্গাপূজায় প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ পূজা চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।

জোটের দাবিসমূহ হলো-
১. দুর্গা পূজায় তিনদিন সরকারি ছুটি (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করতে হবে।

২. প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।

৩. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন।

৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার জন্য সমান প্রয়োগ করা।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রনজিৎ কুমার মৃধা, তপন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ বাড়ই, সঞ্জয় কুমার সাহা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।