ঢাকা: ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবো। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
রোববার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর উত্তরার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. খসরু চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ সমস্যায় ভুগছে। আমার প্রথম কাজ হবে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই সমস্যাটির সমাধান করা এবং সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করা। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে একটি কবরস্থান এবং একটি খেলার মাঠ থাকবে। বাসিন্দাদের আর সমাধির জন্য দূরে যেতে হবে না। শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা পাবে। বিশেষ মনিটরিং টুলস থাকবে যাতে স্কুলগুলো সর্বোত্তম ভাবে কাজ করার জন্য দায়বদ্ধ থাকে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়ার জন্য বিনামূল্যে পরামর্শ সেবা দেওয়া হবে।
একটি উপযুক্ত স্থানে একটি কারিগরি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে যেখানে যুবকরা কারিগরি প্রশিক্ষণ পাবে। শুধু তাই নয়, দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হবে। প্রতিটি বড় বাজার এলাকায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট হটস্পট থাকবে যাতে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের উন্নতির জন্য প্রযুক্তির সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে পারে। ঢাকা-১৮ এর সকল জনগণ অর্ধবার্ষিক বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইন উপভোগ করবেন যেখানে এক্স-রে, চক্ষু, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সহ মৌলিক ঔষুধ সুবিধা সহ অভিজ্ঞ ডাক্তার উপস্থিত থাকবেন। ঢাকা-১৮ এর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো, মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পূর্ণ উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। আমি অবশ্যই এটা নিশ্চিত করব।
মো. খসরু চৌধুরী বলেন, আমি নিরলসভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় কাজ করব যাতে একজন শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী চাকরি নিয়ে স্নাতক হয়। এটি তাদের সমাজে মূল্য সংযোজন করতে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
আমাদের আসনে যানজটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। যেসব এলাকায় প্রাথমিকভাবে গ্যাসের আওতাভুক্ত করা হবে না সেসব এলাকায় এলপিজি পয়েন্ট থাকবে। যেখানে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন বাজারদর থাকবে।
আমি তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও গাইড করার জন্য একটি অত্যাধুনিক যুব উদ্যোক্তা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার শপথ করছি। কেন্দ্র যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা পরে নিজেদের মতো করে ব্যবসা শুরু করবে। এমনকি স্টার্টআপের জন্য সীমিত আকারে তহবিল থাকবে।
প্রতিটি মসজিদে শিশুদের মৌলিক ইসলামী শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০টি কেন্দ্র (মসজিদ) থাকবে যেখানে এই সুবিধাটি প্রদান করা হবে।
ঢাকা-১৮ হবে মাদকমুক্ত। সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। এই আসন জনগণ দ্বারা পরিচালিত হবে। যেখানে থাকবে না কোন সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ।
তিনি বলেন, আমি জনগণের সেবক হতে চাই। নির্বাচিত হলে আমি ঢাকা-১৮ কে সকল আসনের মধ্যে সেরা করার প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
এমএমআই/এমএম