নীলফামারী: উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি কয়েক দফায় বাড়ার পর কমতে শুরু করেছে।
সর্বশেষ বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টায় তিস্তার পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৮টায় ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের টিসিও জহিরুল ইসলাম। ফলে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রাত ৮টার পর থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমতে থাকে। যা রাত ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
একই দিনে সন্ধ্যা ৭টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময় বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র পানি প্রবাহ রাত অবধি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছিল।
এজন্য নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খোলা হয় কন্ট্রোল রুম।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে পাউবো পরিচালক (বোর্ড) ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, সকাল থেকে উজানের ঢলের পানি প্রবল বেগে তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসে। যা দুপুরের পর থেকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাত ৭টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু রাত ৮টার পর পানি প্রবাহ কমতে থাকে। যা রাত ১০টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৩
আরএ