ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এক দড়িতেই ঝুলছিল মা-ছেলের মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এক দড়িতেই ঝুলছিল মা-ছেলের মরদেহ

রাজশাহী: ঘরের দরজা ভেঙে মা ও ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ বছরের শিশু ও তার মায়ের মরদেহ ঝুলছিল একই দড়িতেই।

রোববার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের মাইপাড়া গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। পরে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে রাতে থানায় নেয় পুলিশ।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ওই দুই মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) মর্গে পাঠানোর কথা আছে।

নিহতদের মধ্যে শান্তনা বেগমের বয়স ২৮ বছর। আর তার একমাত্র ছেলে জিহাদের বয়স পাঁচ বছর। তারা পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী জয়ের স্ত্রী-সন্তান।

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘরের দরজা ভেঙে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি রহস্যজনক। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক অসচ্ছলতা ও পারিবারিক অশান্তির জের ধরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

রোববার বিকেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে একই দড়িতে মা ও ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শান্তনা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ আলী জয় জানিয়েছন, তিনি পেশায় দিনমজুর। সকালে বের হন সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরেন। আজ বাড়ি এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন স্ত্রী-ছেলের মরদেহ শয়নকক্ষের আড়ায় সঙ্গে ঝুলছে। আর একই দড়িতে ছিল মা-সন্তান। এরপর তিনি থানায় খবর দিলে পুঠিয়া থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

তবে উদ্ধারের আগে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মরদেহ দুইটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মা ও সন্তানের মরদেহ রামেকের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। আপাতত এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হবে বলেও জানান- এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।