ঢাকা: গত ৯ অক্টোবর (সোমবার) স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইট দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কিছুক্ষণ উড়ার চেষ্টা করার পর বিমানটি গ্রাউন্ড পার্কিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটি শনাক্ত হওয়ার পর বিমানের প্রকৌশলীরা তাৎক্ষণিকভাবে ত্রুটি সারানোর চেষ্টা করতে থাকে। ত্রুটির কথা যাত্রীদের ওইদিন রাত ১টার সময় জানানো হয়। পরে যাত্রীদের বিমানবন্দরের ভেতর ম্যাকডোনাল্ডসে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ভোর ৪টা থেকে যাত্রীরা বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। তবে, সকাল হতে-হতে যাত্রীরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বাংলাদেশ বিমানের দুবাই শাখার দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক সাকিরা ফারজানা লাউঞ্জে এসে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে আস্বস্ত করে বলেন, যারা হোটেলে যাবেন, তাদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করছি। আর যারা অন্য ফ্লাইটে যেতে চান, তাদেরও আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এসময় ১৫ জন যাত্রীকে ইচ্ছা অনুযায়ী ইমিরেটস এয়ারলাইনসে টিকেটের ব্যবস্থা করেন। ঐ যাত্রীদের লাগেজ এ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সে পাঠাতে সহায়তা করেন। এবং অন্য যাত্রীদের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করেন।
বিষয়টি নিয়ে একটি বিমান সংস্থা বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করা চেষ্টা করছে এমন দাবি বিমানের। যান্ত্রিক ত্রুটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটা যখন তখন হতে পারে বলে মত দেন বিমান সংশ্লিষ্টরা
এ ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অন্য একটি বিমান সংস্থা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, বিমানে যারা কাজ করছেন, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উপর আমরা জোর দিচ্ছি। পাশাপাশি ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত আর কোন ব্যাত্যয় হলে জবাবদিহিতার আওতায় আনাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধান নির্বাহী আরো বলেন, কেউ ইচ্ছেকৃতভাবে গাফেলতির করলে তা সংশোধনের চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
এমকে/এমএম