ঢাকা: ভারত ও চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈদেশিক সম্পর্ক কেমন সেটি জানতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ইনস্টিটিউট অব পিস'-এর প্রতিনিধি দল। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন-এশা গুপ্তা, ড্যানিয়ে মারকে ও জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শনে আসে এ প্রতিনিধি দল।
ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিসের (ইউএসআইপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ফরেন পলিসি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সাব কন্টেনেন্টে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাচ্ছে এসব বিষয়ে বাংলাদেশের কি ভূমিকা, আওয়ামী লীগ কি চিন্তা করছে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এ নেত্রী বলেন, তারা জানতে চেয়েছে ইন্ডিয়ার সঙ্গে কেমন? চায়নার সঙ্গে কেমন? সাব কন্টেনেন্টে যে দেশগুলো আছে তাদের সঙ্গে আমাদের রিলেশন কেমন? আমরা আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটি দিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব-কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটিই ফোকাস করা হয়েছে।
"চায়না এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক জানতে চেয়েছে। তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে, চায়না একটি ইকোনমিক পাওয়ার। চায়না আমাদের অর্থনৈতিক পার্টনার। তারা জানতে চাচ্ছে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন। আমরা জানিয়েছি, ইন্ডিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের দুর্দিন ৭১ সালে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটিকে আমরা সম্মানের চোখেই দেখি।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমান আমাদের ওপর ১০ লাখের উপর রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনা মাধ্যমে সবগুলো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। অন্য কোনোভাবে আমরা করি না। পররাষ্ট্রনীতিকে আমরা ফলো করি। এই বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে।
"এদের আগ্রহ ছিল ইন্দো চায়না রিলেশন নিয়ে, হিন্দু প্যাসিফিকো নিয়ে একটি ব্যাপার ছিল, একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের রিলেশন নিয়ে আলোচনার বিষয় ছিল। "
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদ জাগরণ নিয়ে তারা একটি প্রশ্ন করেছে। আমরা উত্তর দিয়েছি- আমরা কারো ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা কারো ইন্টারন্যাল ব্যাপারে কথা বলি না। আমার অন্য দেশের মতাবাদকে সম্মান দেই। ইন্ডিয়াতে কি হচ্ছে না হচ্ছে, চায়নাতে কি হচ্ছে না হচ্ছে,এটি তাদের দেশের জনগণের বিষয়। আমাদের দেখার বিষয় না।
তবে ড. শাম্মী বলেন, আপকামিং ইলেকশন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তারা কোনো প্রশ্ন করেনি, আমরাও কোনো উত্তর দেইনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রতিনিধিদলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লে.কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ইনাম আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এনবি/জেএইচ