ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে খুলনা-মোংলা রেলপথ: রেলমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে খুলনা-মোংলা রেলপথ: রেলমন্ত্রী কথা বলছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

খুলনা: খুলনা-মোংলা রেল লাইন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ। সমগ্র বাংলাদেশকে রেলের আওতায় আনার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ ঘটবে। এতে করে সরকারি রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর পাঁচ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতুর কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথের ৯৮ দশমিক পাঁচ শতাংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বাকি কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো। আর ট্র্যাক লিংকিং করছে আরেকটি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।

ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত নয়টি প্ল্যাটফর্ম রাখা হয়েছে। এছাড়া সম্পন্ন হয়েছে একশ সাতটি ছোট ব্রিজ ও নয়টি আন্ডারপাস নির্মাণ। ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত ডাবল লাইনের রেলপথ প্রকল্পের মোট ৯১ কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে চার হাজার দুইশ ৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
 
পরে মন্ত্রী বাগেরহাট জেলায় মোংলা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।