ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গণপিটুনিতে প্রাণ গেল শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার আসামির

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
গণপিটুনিতে প্রাণ গেল শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার আসামির

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে শেরেকুল মন্ডল (৫০) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শেরেকুল উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শেরেকুল সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে কারাগার থেকে বের হন। শনিবার রাতে তিনি পাশের চৌরাস্তা বাজারে আসেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে ঘিরে ধরে। প্রাণ বাঁচাতে বাজারের একটি হোটেলে আশ্রয় নেন শেরেকুল। সেখানে শতাধিক নারী-পুরুষ তার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে প্রকাশ্যে শেরেকুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গণপিটুনির শিকার শেরেকুলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক শেরেকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান।

গত ৮ মে বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর চার বছরের ছেলে বায়েজিদ।

পরদিন শিশুটির মা রায়হানা বেগম বায়োজিদের সন্ধানে পলাশবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১৩ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে  উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে বায়েজিদের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শিশুর মা রাহেনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অন্যতম আসামি শেরেকুল ইসলামকে গত ২৬ মে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

সে সময় বায়েজিদের মা রায়হানা বেগম দাবি করেন, প্রতিবেশী শেরকুলের ছেলে রোমান এলাকার একজন চিহ্নিত চোর। পাশাপাশি সে নেশায় আসক্ত। রোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় রোমান বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এরই ধারাবাকিতকায় তার ছেলে বায়েজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পরে মায়ের দাবিই সত্যি হয়। রোমানসহ অভিযুক্ত আসামিরা হত্যকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন:
বায়েজিদ হত্যা: মায়ের দাবিই সত্যি হলো

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।