ঢাকা, সোমবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জুন ২০২৪, ১৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তা দেবে নরওয়ে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তা দেবে নরওয়ে

ঢাকা: বাংলাদেশে নরফান্ড ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তা দেবে নরওয়ে।

বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএফ) যাত্রা শুরু করার লক্ষ্যে সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার নরওয়েজিয়ান দূতাবাস, নরফান্ড এবং দ্য নর্ডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ (এনসিসিআই) এক সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্তরণে সহায়তা করার জন্য নরওয়ের অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বর্ধিত বিনিয়োগ, গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগের সুবিধার জন্য সহায়ক নীতির উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি আনুষাঙ্গিকগুলোর আর্থিক বাধাগুলো অপসারণের বিষয়গুলো আলোচিত হয়। এছাড়াও এক্ষেত্রে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতাসহ বাংলাদেশের গ্রিন এনার্জি উত্তরণের ওপর আলোকপাত করা হয়।

সেমিনারের প্রধান অতিথি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে দেশটি তার মোট দেশজ উৎপাদনের দুই শতাংশ  হারাতে চলেছে। দেশের শুধু জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগের প্রয়োজনই নয়, জ্ঞান ও সক্ষমতা তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োজন এবং নরফান্ডের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড একটি বড় সহায়ক হতে পারে।

এনসিসিআই এর সভাপতি তাহরিন আমান বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত একটি গভীর পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, যা ঐতিহ্যগত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসে স্থানান্তরিত হচ্ছে এ পরিবর্তন কেবল আমাদের জ্বালানি শক্তির উৎসের পরিবর্তন নয়; এটি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংকল্পের প্রমাণ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে  নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সেভেন্ডসেন বলেন পুঁজির অ্যাক্সেস-নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি শিল্পের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্ভরযোগ্য এবং অভিজ্ঞ আর্থিক অংশীদার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। তিনি প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ এবং শাসন ও স্বচ্ছতা, সু-নিয়ন্ত্রিত বাজার এবং স্মার্ট ইনসেনটিভ বাস্তবায়ন ও সঠিক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য একটি গতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন।

নরওয়ে দূতাবাস জানায়, নরফান্ড দ্বারা পরিচালিত ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (সিআইএফ) বৈশ্বিক জ্বালানি সংরক্ষণে নরওয়ের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ২০২২ থেকে ২০২৭ সালের জন্য সিআইএফ ১০ বিলিয়ন নরওয়েজিয়ান ক্রোনার বরাদ্দ করেছে যেন উন্নয়নশীল দেশগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি থেকে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে পারে। এ নির্বাচিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং উইন্ড ফর্মের মতো বড় পরিসরের প্রকল্পের পাশাপাশি ছাদে সোলার ইনস্টলেশনের মতো ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে তহবিলটি সহায়তা দেবে। এরই সঙ্গে সিআইএফ জলবায়ু প্রভাবের সাথে টেকসই প্রযুক্তি যেমন, শক্তি সঞ্চয় এবং প্রেরণের পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।