ঢাকা: লোক ও কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য সারাদেশ থেকে মনোনীত ছয়জন বিশিষ্ট কারুশিল্পীর হাতে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ‘লোক ও কারুশিল্পবিষয়ক পদক ২০২৩’ তুলে দিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ১২৭তম বোর্ড সভা শেষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মনোনীত লোক ও কারুশিল্পীদের হাতে পদক তুলে দেন তিনি।
তিন ক্যাটাগরিতে ছয়জন লোক ও কারুশিল্পীকে এসব পদক দেওয়া হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন সম্মাননা পদক-২০২৩, লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৩ এবং লোক ও কারুশিল্পী উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩।
‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন সম্মাননা পদক-২০২৩’ পেয়েছেন মৌলভীবাজারের শীতলপাটি শিল্পী গীতেশ চন্দ্র দাস। যাকে পুরস্কার হিসেবে তিন লাখ টাকার চেক, ২১ ক্যারেট মানের দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
‘লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৩’ পেয়েছেন পাটজাত কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য রংপুরের রাশিদা বেগম, রিকশা পেইন্টিং শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকার রফিকুল ইসলাম ও মণিপুরী তাঁতশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য মৌলভীবাজারের রেহেনা পারভিন। যাদের প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক, ২১ ক্যারেট মানের এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
‘লোক ও কারুশিল্পী উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩’ পেয়েছেন কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য কুমিল্লার সানাই দাশগুপ্ত ও নকশি কাঁথা শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের পারভীন আক্তার। যাদের প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিশিষ্ট শিল্পী হাশেম খান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনসহ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি