ঢাকা: দীর্ঘদিন ঢাকার ওয়ার্ডগুলো অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের মর্যাদা দিয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ৪৪-৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে উত্তরখানের বালুর মাঠে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে রাস্তা-ঘাট জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বৃষ্টি হলেই এ এলাকাগুলোতে পানি উঠে। দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে জনভোগান্তি দীর্ঘায়িত হবে। সবাই যার যার মতো ডোবা, নালা নিচু জমি জলাশয় ভরাট করে বিল্ডিং করে ফেলছে। পানি নামার সুযোগ নেই। ফলে ভোগান্তি চলছেই।
তিনি বলেন, এসব এলাকার মূল রাস্তাটির প্রশস্ত হবে ৭২ ফিট। বিভিন্ন গলির রাস্তা হবে কমপক্ষে ২০ ফিট। ফলে রাস্তার ধারে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে হবে। জনগণের জায়গা জনগণকে ফেরত দিতে হবে।
এ সময় তিনি জনস্বার্থে কারো ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো জায়গা থাকলে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত ২৪ ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু রাস্তা করে ফেলেছে। ড্রেনেজের জন্য ভূগর্ভে ছয় ফিট ডায়ার রিং বসানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এসব এলাকার জীবনমানের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে।
সভা শেষে মেয়র ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন স্থাপনের কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান। এ সময় খাল ও রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বানানো চারটি বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির অঞ্চল ৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বাকীর উপস্থিতে সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়।
ওয়ার্ড নম্বর ৪৫ এর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাবীব হাসান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ও প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত মেজর সৌমিক ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এমএমআই/আরআইএস