নীলফামারী: দিনে গরম থাকলেও ভোরে ও সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা পড়ছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। ভোরে ও রাতে হালকা শীতও অনুভূত হচ্ছে।
প্রকৃতিও শান্ত-নীরব থাকছে। শীতের আগমনে নদী-নালা ও খালবিলে কমতে শুরু করেছে পানি। মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের ওপর বিন্দু বিন্দু শিশিরকণা দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা।
নীলফামারীর আকাশে আগাম শীতের বার্তা দিচ্ছে প্রকৃতি। গরিব ও অভাবী মানুষগুলো পুরোনো কাঁথা ও লেপ-তোশক নতুন করে সেলাই করে শীতের প্রস্ততি নিচ্ছেন। রাতে সব বয়সী মানুষের শরীরে কাঁথা ও হালকা কম্বল জড়াতে হচ্ছে।
শীতের সঙ্গে সঙ্গে আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ করেছেন তারা। এ বছর আগাম শীত এসে যাওয়ায় অনেকের আশঙ্কা, পুরো শীত মৌসুমে এর তীব্রতা বেড়ে যাবে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বাংলানিউজকে জানান, গেল এক সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। মূলত পৌষ, মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও এ বছর আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই শীত শুরু হয়েছে। এ বছর শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এফআর