ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার দুইদিন পরে নুরুজ্জামান (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি বিওপির সীমান্ত ৩৮০ নম্বর পিলার দিয়ে মরদেহটি ফেরত দেয় তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সোবহান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আব্দুস সোবহানকে ওই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে এসআই আব্দুস সোবহান নিহতের বড় ভাই নবিরুলের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
এসময় ভারতের পক্ষে ১৫২ বিএসএফের সোনামতি কোম্পানি কমান্ডার টিসি রাজিব চন্দ্র রায়, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার এসআই রায়মন, বেউরঝাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শামসুল আলম ও আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডোঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, নুরুজ্জামান গরু চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে কয়েকজন মিলে ভারতীয় সীমান্তের কাছে গেলে বিএসএফের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নুরুজ্জামান। পরে মরদেহটি নিয়ে যায় বিএসএফ।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঠাকুরগাঁও ৫০ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন। অনুষ্ঠিত হয় পতাকা বৈঠক। বৈঠকে বিএসএফ ওইদিন মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা জানালেও ফেরত দেয়নি।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বয়ে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
আরএ