খুলনা: জীবনে নিরাপত্তার দাবিতে এবার খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানালেন জেলার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের হাতে লাঞ্চিত নারী ইউপি সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এই আবেদন করেন আমাদী ইউনিয়নের সদস্য দিলরুবা খাতুন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তার জনপ্রিয়তা, সততা ও সুনামকে ক্ষুণ্ন করার জন্য গত ২১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল কোন কারণ ছাড়াই তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন। আরো ইউপি সদস্য এবং বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তাকে গালিগালাজ করে, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে এ সময় কয়েকবার তাকে মারার চেষ্টা করা হয় এবং একপর্যায়ে তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি লেখেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় এবং সন্ত্রাসবাহিনী লালন করায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় এমপির অত্যান্ত কাছের লোক হওয়ায় জুয়েল এমন আচরণ শুরু করেছে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার নিরীহ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল কয়রায় একটি খালের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জানকে মারধর করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যানের জিয়াউর রহমান জুয়েল। ওই সময় ভুক্তভোগী সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জান এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এমএম