বরিশাল: লক্ষ্মীর প্রতিমা, সরা, ঘট, ফুল, বেলপাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে বরিশাল নগরের হাটখোলার হরি মন্দিরে বসেছে ঐতিহ্যবাহী মেলা বা লক্ষ্মীরহাট।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে হাট ছিল অনেকটাই জমজমাট।
জানা গেছে, শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এক চিরন্তন প্রার্থনা। প্রায় প্রতি ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পূজা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পত্তির দেবী। ধন-সম্পদের আশায় ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা হয়ে থাকে।
বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দে নারু জানান, শতাধিক বছর ধরে বরিশাল নগরের হাটখোলার হরি মন্দিরে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে লক্ষ্মীর প্রতিমা, সরা ও উপকরণের মেলা বা হাট বসে। দুর্গাপূজার বিসর্জন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর পরদিন থেকে শুরু হয় এ মেলা, যা চলে লক্ষ্মীপূজার আগ পর্যন্ত।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতি, কলসকাঠি, কুমারখালি, চরআইচা, বাবুগঞ্জের মাধবপাশা, ঝালকাঠির সদর, রিয়তপুরের ফাইলপাড়া অঞ্চল থেকে কুটিরশিল্প পর্যায়ে প্রস্তুত সামগ্রী নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী এ হাট বা মেলায় লক্ষ্মীর প্রতিমা, পূজার মাটির উপকরণ ও শলা সামগ্রী নিয়ে এসেছেন মৃৎশিল্পী ও শলা শিল্পীরা। গ্রাম থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মীপূজার এসব সামগ্রীর সঙ্গে পদ্মকুড়ি, কলাগাছ, ফুল, বেলপাতার উপকরণও এনেছেন। এছাড়া লক্ষ্মীপূজার দিন ঘর সাজানোর আলপনা ও ঝুলন সামগ্রীও বেচাকেনা হচ্ছে মেলায়।
মেলায় আসা ব্যবসায়ীরা জানান, লাভ-ক্ষতির চেয়ে পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা, ধর্মীয় পূণ্যার্জনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে এ মেলায় আসেন তারা। আর প্রতিজন ৩০/৪০টি করে লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে এসেছেন। সর্বোনিম্ন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকার প্রতিমা রয়েছে তাদের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এমএস/আরবি