ঢাকা: শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন সমাবেশ রয়েছে।
এদিকে অনিবন্ধিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি ছাড়াই মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২০ শর্তে নিজের পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করতে অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। এছাড়া অন্যান্য দল মিলিয়ে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীতে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা করতে না পারে সেজন্য রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলাকারী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী যাতে রাজধানীতে বা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে রয়েছে পুলিশ-র্যাবের তল্লাশি চৌকি। প্রবেশ পথগুলোতে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার পুলিশ সদস্যরা কড়া নজরদারি ও তল্লাশি করছেন। এদিকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে র্যাবের তল্লাশি চৌকি। এছাড়া রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল টিম রয়েছে।
রাজধানীর মগবাজার, বাড্ডা, শান্তিনগর, মালিবাগ, নাইটিঙ্গেল মোড়, পল্টন, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, শাহজানপুর, মৎস্য ভবন, কমলাপুর, মতিঝিল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মতিঝিল এলাকায় যাতে অনিবন্ধিত দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য ওই এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ওই এলাকায় আনসারের এজিবি সদস্য, র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।
রাজধানীর আরামবাগ, কমলাপুর এলাকায় জামায়াতকর্মীরা জড়ো হয়ে শাপলা চত্বরে বসার চেষ্টা করছেন। তবে পুলিশ সদস্যরা সেখানে কাউকে বসতে দিচ্ছেন না। মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা শহরের প্রবেশ পথগুলোতে যথেষ্ট চেকপোস্ট রয়েছে। কারণ এ মেগা সিটিতে কোনো দুষ্কৃতিকারীর প্রবেশ কাম্য নয়। অপরাধী মানুষকে চেক করতে গিয়ে কখনো কখনো ভালো মানুষকেও চেক করতে হয়। এয়ারপোর্টেও সবাইকে চেকিংয়ের আওতায় আনা হয়। থ্রেট থেকে সেভ থাকার জন্য চেক পয়েন্টে সবাইকে চেক করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাব রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। রাজধানীজুড়ে আমাদের টহল টিম চেকপোস্ট রয়েছে। যারাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এসজেএ/আরবি