ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগাম রসুন চাষে ব্যস্ত নীলফামারীর কৃষক-কৃষাণীরা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
আগাম রসুন চাষে ব্যস্ত নীলফামারীর কৃষক-কৃষাণীরা

নীলফামারী: রসুন আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নীলফামারীর কৃষক-কৃষাণীরা। মসলা জাতীয় রসুন আবাদে মাঠে কাজ করছেন কৃষকরা।

এমন চিত্র দেখা গেল সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে রানীরবন্দরে। এই রানীরবন্দর থেকে উত্তরে খানসামা, দক্ষিণে চিরিরবন্দর যে দিকে চোখ যায় চলছে রসুন আবাদের মহোৎসব। বাজারে রসুনের দাম ভালো তাই এ বছর কৃষকরা রসুন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।

সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবারে রসুনের ভালো ফলন আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।  

রানীরবন্দর এলাকার সামসুল হক জানান, বর্তমানে বাজারে রসুন ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়ির আবাদি রসুন বীজ হিসেবে রেখেছিলাম। এসব রসুনের কোয়া খুলে জমিতে লাগানো হচ্ছে। বীজ লাগাতে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে পুরুষের ৪০০ টাকা ও নারীর ৩০০ টাকা।  

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৩৪৮ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭৪৪ মেট্রিক টন।

একইভাবে খানসামা উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে রসুন চাষ করছেন এলাকার কৃষকরা। অনেক কৃষক জমি বর্গা নিয়ে অধিক লাভের আশায় রসুন চাষ করছেন। দাম ও চাহিদার কারণে রসুনের আবাদ বাড়ছে এই দুটি উপজেলায়।

কৃষক আলী হোসেন ও মমতাজ আলী জানান; ধান, পাট, গম প্রভৃতি আবাদ করে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আগাম জাতের সবজি ও রসুনে দাম পাওয়া যায়। সেই চিন্তা থেকে প্রতিবছর রসুন আবাদে জমির পরিমাণ বাড়ছে।  

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা জানান, বর্তমানে চিরিরবন্দর এলাকায় কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষি বিভাগ এলাকার কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার রসুনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।