ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে চিত্রা নদীতে নৌকাবাইচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
নড়াইলে চিত্রা নদীতে নৌকাবাইচ

নড়াইল: বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলের চিত্রা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে নৌকাবাইচ।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে নদীর পুরাতন ফেরিঘাটের শেখ রাসেল সেতুর সামনে এ বাইচ উদ্বোধন করা হয়।

খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পিপিএম এর উদ্বোধন করেন।  

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ বাইচ দেখতে আশেপাশের জেলাসহ স্থানীয়দের পদভারে মুখরিত চিত্রা নদীর দুইপাড় জনস্রোতে পরিণত হয়।

জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোসা. সাদিরা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহমেদ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট (এনডিসি) আছিফ উদ্দিন মিয়া, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম হিলু, নড়াইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

নড়াইল পুরাতন ফেরিঘাটের শেখ রাসেল সেতু থেকে শুরু হয়ে মাছিমদিয়ার এস এম সুলতান সেতু পর্যন্ত তিন কিলোমিটার বাইচে অংশ নেয় কালাই নৌকা ১০টি, টালাইয়ের ৪টি নৌকা। মোট পাঁচটি টানে বাইচ শেষ হয়।

টালাই এবং কালাই নৌকার প্রত্যেক বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারী প্রতিটি নৌকাকে ৬০ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রতিটি নৌকাকে ৪০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিটি নৌকাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী নৌকাকে ৫ হাজার টাকা করে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নারী নৌকাবাইচ প্রতিযোগীদের প্রথম স্থান অধিকারীর জন্য ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী নৌকাকে ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বাইচকে ঘিরে জমিদারবাড়ির বাদাঘাট, চরের ঘাট আর পঙ্কবিলা ঘাটে মেলা বসে। মেলায় নানা ধরনের নাগরদোলা, চরকি আর পসরা নিয়ে বসেছিল আগত দর্শকদের জন্য। নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধের আগমনে এ নৌকাবাইচ যেন পরিণত হয় মিলন মেলায়। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ বাইচ দেখতে চিত্রা নদীর দুইপাড়ে, বাড়ির ছাদে, গাছের ডালে বসে যে যেখান থেকে যেভাবে পেরেছেন, সেভাবেই সবাই উপভোগ করেছেন।

আয়োজকরা জানান, সুলতান সব সময় গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতিকে লালন পালন করতেন। আর তার সেই আজীবনের লালিত স্বপ্নকে ধরে রাখতেই প্রতিবছর নৌকাবাইচ আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।