ঢাকা: সিনিয়র সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনও রয়েছে নানান আলোচনা। বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে টিয়ারশেলের আঘাতে রিকশা থেকে পড়ে মারা গেছেন এই ধারণাটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল।
প্রয়াত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মেয়ে উর্মি জানান, তার বাবা টিয়ারশেলের আঘাতে নয়, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে (স্ট্রোক) মারা গেছেন।
নিহত রফিক ভূঁইয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাপ্তাহিক নতুন কাগজ এর সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে গণমাধ্যমে উর্মি তার বাবার মৃত্যু নিয়ে প্রচারিত বিভিন্ন সংবাদের আপত্তি তুলে বলেন, আমার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি কোনো সংঘর্ষে জড়াননি।
উর্মি বলেন, রিকশা করে যাওয়ার পথে আমার বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে রিকশা থেকে পড়ে যান। এরপর তার ব্রেইন ডেড হয়ে যায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। স্ট্রোক করার কারণে ব্যালান্স রাখতে না পেরে রিকশা থেকে পড়ে যান। আর তখন মাথার পিছনে ইন্টার্নাল ব্লিডিং হয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে টিয়ারশেলের আঘাতে মৃত্যু নিয়ে যেসব তথ্য প্রচারিত হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আপত্তি তুলে উর্মি জানান, এধরনের খবর একেবারেই মিথ্যা। যদি টিয়ারশেলের আঘাতে আমার বাবা মারা যেতেন, তাহলে আমরাই জিডি করতাম বা অভিযোগ করতাম। কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা এগুলো করিনি। আমরা কিছু না বললেও কিছু মানুষ এই ঘটনায় নানান রং মিশিয়ে বিভিন্নভাবে প্রচার করছে।
পরে নিজের বাবার নানান কীর্তি তুলে ধরে উর্মি বলেন, আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন কিন্তু কোনো বেনেফিট নেননি। সুবিধা নিতে রাজি হননি বলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটও তিনি ছিঁড়ে ফেলেন। এই মানুষটাকে নিয়ে যারা এধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদেরকে থামতে বলেন সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মেয়ে।
এর আগে, শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রেসক্লাবে যাওয়ার পথে সেগুনবাগিচায় রিকশা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান রফিক ভূঁইয়া। পরে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।
রফিক ভূঁইয়া ১৯৫১ সালের ১০ জানুয়ারি ফেনীর দাগনভূঞায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
এসজেএ/এমএম