ঢাকা: রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় নজরুল ইসলাম হৃদয় (২০) নামে এক তরুণের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ হয়েছে। তার স্ত্রীর দাবি, তিনি গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ওই যুবককে স্বজনরা অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদয় চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ডেমরার কোনাপাড়ায় শাহজালাল রোডে একটি টিনশেড বাসায় স্ত্রী রুবিনা আক্তারকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন।
রুবিনা আক্তার জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করতেন। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কোনাপাড়ার ওই ভাড়াবাসায় আছেন তারা। মঙ্গলবার রুবিনার পা কেটে যায়। তখন তিনি চিকিৎসকের কাছে নিতে বলেন স্বামীকে। কিন্তু তার স্বামী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাননি। এ নিয়ে সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
রুবিনা আরও জানান, ঝগড়ার পর হৃদয় বাইরে চলে যান। দুপুরে বাসায় এসে বলেন, ‘আমি দোকান থেকে এমন জিনিস খেয়ে এসেছি যে আর মাত্র ১২ ঘণ্টা বেঁচে থাকবো। ’ এই কথা শুনে রুবিনা পাশে তার মায়ের বাসায় চলে যান এবং মায়ের সঙ্গে বাসায় এসে দেখেন—ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় হৃদয় ঝুলছেন। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ডেমরা থানায় জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৩
এজেডএস/এইচএ/