ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রোরেলে ভ্রমণের আমেজ, রিকশা-ভ্যানে অফিসযাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
মেট্রোরেলে ভ্রমণের আমেজ, রিকশা-ভ্যানে অফিসযাত্রা

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় যানবাহন কম থাকার কারণে কর্মজীবীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। তবে মেট্রোরেলের কারণে আনন্দভ্রমণের আমেজে অফিসে আসছেন উত্তরা-মিরপুর-আগারগাঁও-ফার্মগেট ও এসব এলাকার যাত্রীরা।

এছাড়া বিআরটিসির বাস, রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল বা পায়ে হেঁটে অনেকে অফিসে আসছেন। অফিসে উপস্থিতিও প্রায় স্বাভাবিক।

দ্বিতীয় দফার অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে মতিঝিল, দিলকুশা ও পল্টন এলাকা ঘুরে এ চিত্র  দেখা যায়।  

দুপুরের আগে দেখা যায়, অবরোধে ব্যাংকপাড়া মতিঝিলে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। সরকারি পরিবহন বিআরটিসির বাস আর হাতেগোনা দুয়েকটি বাস চলাচল করছে। পিকেটার বা অবরোধ সমর্থকদের কোনো তৎপরতাও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সতর্ক অবস্থান করছে পুলিশ।

মতিঝিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল বা পায়ে হেঁটে লোকজন অফিসে আসছেন। এজন্য তাদের ভাড়া একটু বেশি গুনতে হচ্ছে। সময়ও লাগছে বেশি। আবার পিকেটিংয়ের শঙ্কা মাথায় নিয়েও চলতে হচ্ছে তাদের।  

গোলাপবাগ রেলস্টেশন থেকে ভ্যানে চড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে জীবন বিমা অফিসে এসেছেন আমিরুল ইসলাম। তার সঙ্গে এসেছেন আরও পাঁচ যাত্রী। তারা গোলাপবাগ পর্যন্ত এসেছেন অন্য পরিবহনে। অন্যদিন সরাসরি আসতেন কর্মস্থলে। আজ গন্তব্য ভেঙে ভেঙে ভিন্ন পরিবহনে এসেছেন। এজন্য খরচ ও সময় দুইই বেশি লেগেছে।

অবশ্য যেসব অফিসের স্টাফ বাস আছে, তাদের কর্মীরা স্বস্তিতে আছেন। এমনকি সড়কে গাড়ি কম হওয়ার কারণে তারা খুব দ্রুত অফিসে চলে আসছেন। অন্য স্বাভাবিক দিনে যেখানে এক ঘণ্টা সময় নিয়ে তাদের বের হতে হতো, এখন আধাঘণ্টা সময় নিয়ে বের হলেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে অফিসে চলে আসতে পারছেন তারা।  

এদিকে মেট্রোরেল উদ্বোধন হওয়ার ফলে মিরপুর-ফার্মগেটের আশপাশের এলাকার মানুষ এই পরিবহনে আসছেন মতিঝিলের অফিসপাড়ায়। অবরোধে দুর্ভোগ হওয়ার পরিবর্তে এসব এলাকার মানুষ মেট্রোরেলে আরামদায়ক ভ্রমণে কর্মস্থলে আসছেন। অন্য সময়ে এসব এলাকার যাত্রীদের মতিঝিলে পৌঁছাতে দে থেকে দুই ঘণ্টা সময় পার করতে হয়েছে সড়কে। অথবা বাড়তি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেলে আসতে হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর বাসা থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্যে অফিসে চলে আসতে পারছেন তারা।

অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত আসিকুল ইসলাম এমনই একজন। শেওড়াপাড়া থেকে সব মিলিয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে অফিসে চলে এসেছেন। ছিল না কোনো ঝাক্কি-ঝামেলা। ছিল না পিকেটারেরও ভয়।

তিনি বলেন, ‘ঝকঝকে পরিবহন, আধুনিক স্টেশন, চলন্ত সিঁড়ি, হকারের হাঁক-ডাক নেই। ভ্রমণের আমেজে অফিস করছি। যেন ইউরোপ-জাপানে অফিস করছি। এ পরিবেশ যেন সব সময় থাকে। ’

এদিকে অবরোধে সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম হলেও অফিসে উপস্থিতি স্বাভাবিক। সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ে সব কর্মকর্তা অফিসে হাজির হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৩
জেডএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।