নীলফামারী: বিমানে ওঠার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসেছিলাম।
মানিক জানায়, তার খুব ইচ্ছে ছিল সৈয়দপুরে এসে বিমানে উঠবে। সে অনুযায়ী রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সে বাসে চেপে সৈয়দপুরে আসে। পরে বাস থেকে নেমে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে অটোতে করে বিমানবন্দরে চলে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অন্য একটি পরিবারের সঙ্গে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ঢুকে পড়ে মানিক। তার চলাচলের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় সিকিউরিটির। এ অবস্থায় ধরা পরে সে।
বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন সুপারভাইজার ফাহমিদ হাসিব জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ভেদ করেই মানিক লাউঞ্জে ঢুকে পড়ে। কিন্তু আমরা সতর্ক ছিলাম। ফলে সে ধরা পড়ে।
রাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গেলে দেখা যায়, মানিক এয়ারপোর্ট টার্মিনালের একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছে। তাকে কিছু স্নাক্স খেতে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই কথা হচ্ছিলো মানিকের সাথে। সে বলে, আমাকে কেউ পাঠায়নি। আমি নিজের ইচ্ছায় এসেছি। ঢুকেও পড়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হলো না। কোনো রকম ভয় ভীতি ছিল না মানিকের চেহারায়।
বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন রুলস অনুযায়ী বেরিয়ার অতিক্রম করে এয়ারপোর্টে প্রবেশ একটা অপরাধ। তবে অনুপ্রবেশকারী শিশু। বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে। শিশুটির বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ওপরে জানানো হয়েছে। স্থানীয় থানাতেও খবর দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। সিভিল এভিয়েশন ব্যাপারটি দেখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
আরএ