ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দায়িত্ব নিচ্ছেন মেয়র, পাচ্ছেন বিকল ‘সাদা জিপ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
দায়িত্ব নিচ্ছেন মেয়র, পাচ্ছেন বিকল ‘সাদা জিপ’

বরিশাল: নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) দায়িত্ব নেবেন নতুন নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ও তার পরিষদ।  

তবে মেয়রের জন্য বরাদ্দকৃত সাদা রঙের জিপ গাড়িটি সহসাই চলাচলের উপযোগী নয়।

ফলে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণের পরও গাড়িটি ব্যবহার করতে পারছেন না।  

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের জননন্দিত মেয়র ছিলেন প্রয়াত শওকত হেসেন হিরণ। তিনি সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত দ্বিতীয় পরিষদের মেয়র ছিলেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই সাদা রঙের একটি কোটি টাকার জিপ সিটি করপোরেশনের অনুকূলে বরাদ্দ আনা হয়। সেটি তখন থেকেই মেয়রদের বহনে নিয়োজিত হয়। এরপর তৃতীয় পরিষদের মেয়র আহসান হাবিব কামালও ওই গাড়িটি ব্যবহার করেন।  

তবে চতুর্থ পরিষদের মেয়র হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সেই গাড়িটি ব্যবহারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। ফলে গাড়িটি নগরের কালিবাড়ি রোডস্থ তার বাসভবনে নেওয়ার পর আর সেটি বের করা হয়নি। সম্প্রতি সেই গাড়িটি বিদায়ী মেয়রের বাসা থেকে নগরের বান্দ রোডস্থ ফিশারি রোডের সিটি করপোরেশনের গ্যারেজে নিয়ে আসা হয়।

২০১৮ সালে ১৪ নভেম্বর বিকেলে নগর ভবনের তৃতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে বিসিসির চতুর্থ পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, করপোরেশন থেকে যে গাড়ি আমি পাই তাও ব্যবহার করছি না। আমার ব্যক্তিগত গাড়ির তেল কিনে করপোরেশনের কাজে ব্যবহার করছি। বাস্তবে দেখাও গেছে পরিষদের গোটা মেয়াদকালে তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলের মাধ্যমে চলাফেরা করেছেন।  

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা প্রায় কোটি টাকা মূল্যের গাড়িটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গ্যারেজের দায়িত্বরত স্টাফরা বলছেন, ধুলোমাখা গাড়িটি কয়েকদিন আগে রাতে অন্য একটি যানবাহনের সহযোগিতায় এখানে আনা হয়। এরপর ধুলোমাখা গাড়িটি ধুয়ে পরিষ্কার করে কয়েকটি টায়ার পাল্টানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সেখানে গিয়ে গাড়িটি গ্যারেজের এককোনায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কোনো ধরনের মেরামতের কাজও কেউ করছেন না।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর নানান সমস্যাসহ গাড়িটি তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর সেটি আর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন পরে একটি যানবাহনের সাহায্যে গাড়িটিকে ফিশারি রোডের ওয়ার্কশপে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, গাড়িটি ধোয়া মোছার পাশাপাশি চাকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে যান্ত্রিক সমস্যাগুলো সমাধান আমাদের ওয়ার্কশপে সম্ভব না। এমনকি এখানে সব যন্ত্রাংশ পাওয়াও যাবে না। তাই এটি ঢাকায় নিয়ে মেরামত করতে হবে।

এ বিষয়ে গত পরিষদের শুরুর দিকে যানবাহন শাখার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম টিপু জানান, গাড়িটি মেরামতের কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে তা বলতে পারছি না।

এদিকে গাড়িটি না হলেও দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন মেয়রকে যানবাহনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নগর ভবনের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুমা আক্তার জানিয়েছেন, মেয়রের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।