ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধে গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
অবরোধে গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস

ঢাকা: বিএনপিসহ বিরোধী দলের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন ও বাম জোটের সকাল সন্ধ্যা হরতালে যাত্রী সংকট থাকায় গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

লোকাল বাস চলাচল করলেও যাত্রী সংকট রয়েছে পরিবহনগুলোতে।

তবে গাবতলী প্রধান সড়কে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের খণ্ড খণ্ড মিছিল সকাল থেকে অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

গাবতলীতে সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে দূরপাল্লার গাড়িগুলো প্রস্তুত রাখা হলেও যাত্রী না থাকায় কোনো পরিবহনই গাবতলী ছেড়ে যায়নি। যাত্রী না থাকায় বেশির ভাগ বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। দু চারটি কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে গোল্ডেন লাইনের কাউন্টার মাস্টার হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পরিবহনের এখানে ছয়টি কাউন্টার থাকলেও পাঁচটি বন্ধ রয়েছে। একটি খোলা রাখা হলেও যাত্রী সংকট থাকায় দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যদি যাত্রী পাই তাহলে গাড়ি ছাড়া হবে।

একটি গাড়ি সড়কে বের করলে প্রচুর খরচ হয়। দুই একজন যাত্রী এলেও এটা দিয়ে খরচ উঠবে না বলে জানিয়েছেন কাউন্টার মাস্টার হাফিজুর।

এ ব্যাপারে গাবতলীতে অবস্থিত ডিডি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে আমরা কাউন্টার খুলে বসে আছি কিন্তু যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। গতকালও একই অবস্থা ছিল, আমরা প্রস্তুত ছিলাম কিন্তু যাত্রী পাইনি।

তিনি বলেন, আজ আমাদের দুটি গাড়ি ছাড়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং অন্যটি রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাবার কথা রয়েছে। সন্ধ্যার গাড়িতে দুটি এবং রাতের গাড়িতে পাঁচটি সিট বুকিং হয়েছে এ পর্যন্ত। সারাদিন পর বোঝা যাবে গাড়ি যাবে কি না। ৪০ জনের সিটে গাড়িতে দুই থেকে পাঁচ জন নিয়ে তো আর যাওয়া যায় না। তবে সিট ফিলাপ না হলে অনেক সময় গাড়ি ছাড়া হচ্ছে না। বুকিং ক্যানসেল করতে হচ্ছে, এতে যাত্রীদেরও অনেক কথা শুনতে হয়। যদিও আমরা চেষ্টা করি যে, অন্য কোনো গাড়ি ছেড়ে গেছে সেখানে এ যাত্রীদের তুলে দিতে।

একটা গাড়িতে খরচ অনেক যাত্রী না থাকায় গাড়ি ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মইনউদ্দিন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের ডিউটি পালন করছি, যাত্রী থাকলে অবশ্যই আমরা গাড়ি ছাড়বো।

মা অসুস্থ পরিবার নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম। কাউন্টারে এসে কোনো পরিবহন না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মা অসুস্থ কখন বাড়ি যাব এক ঘণ্টা ধরে কাউন্টারে ঘুরাঘুরি করছি, সরাসরি কোনো গাড়ি চলছে না। তাই ভেঙে ভেঙে হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।

এদিকে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সকাল থেকেই মঞ্চ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আশে পাশে অবস্থান নিয়েছেন। মঞ্চগুলোতে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কের যান চলাচল কিছুটা কম রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।