ঢাকা: উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণে দেশে সংঘটিত হয়েছে আমূল পরিবর্তন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত "উন্নয়ন ও গণতন্ত্র" শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বব্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের পরিপূরক। স্বাধীনতার পর মাত্র ৩ বছরে বঙ্গবন্ধুর একান্ত প্রচেষ্টায় জিডিপির দিক দিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী বঙ্গবন্ধু এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জনগণের ভোটে ও সমর্থনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত অদম্য বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রূপকার শেখ হাসিনার এ অদম্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে, আগুন সন্ত্রাস করে রুদ্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের ভোটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার মাধ্যমে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অদম্য এ বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন তখন বাজেটের আকার ছিল মাত্র ১৯ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাজেটের আকার প্রায় ৭৬২ ভাগ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব হ্রাস এবং এইচডিআই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। শেখ হাসিনার মতো এমন দূরদর্শী নেতা না থাকলে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না।
সেমিনারে উপস্থিত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে সরকারের সমালোচনাকারীরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা সত্যি অকল্পনীয়। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত শেখ হাসিনা সরকারের একান্ত প্রচেষ্টার ফসল বাংলাদেশের এ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এমকে/জেএইচ