পাথরঘাটা (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুই ট্রলারসহ ৩১ জন জেলের সন্ধান এখনো মেলেনি।
এর আগে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে অনেক মাছ ধরা ট্রলার। এর মধ্যে ইউসুফের মালিকানা এফবি মায়ের দোয়া, রফিকের মালিকানা এফবি এলাহি ভরসা ও আনোয়ারের মালিকানা এফবি তামান্না।
এফবি মায়ের দোয়া নামে ট্রলারে ১২ জনের মধ্যে ৪ জন উদ্ধার হলেও ৮ জন নিখোঁজ এখনো রয়েছেন। উদ্ধার করা চার জেলে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাটে পৌঁছেছে।
তারা হলেন- নুর জামান মুন্সি, মাসুম মিয়া, আজগর মিয়া ও রাজিব।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- আবুল কালাম, মো. জাফর মিয়া, মজিবুর রহমান, ট্রলার মালিক ইউসুফ মিয়া, ছত্তার হাওলাদার, নাদিম, বেল্লাল ও ইয়াছিন মিয়া।
এদিকে এফবি এলাহি ভরসা ও এফবি তামান্না ট্রলারের জেলেদের নাম জানা না গেলেও তাদের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে অনেক মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত তিনটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩৯ জন জেলের সন্ধান মেলেনি।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশনের লে. সাকিব মেহেবুব জানান, জেলে নিখোঁজের খবর এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কেউ জানায়নি। তবে কোস্টগার্ড ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জলসীমায় টহলে আছে। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং ট্রলার মালিক সমিতির যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএম