ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হরতালে গাবতলী থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার গাড়ি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
হরতালে গাবতলী থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার গাড়ি ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী বিরোধী দলগুলোর ৬ষ্ঠ দফার কর্মসূচি হরতালে সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর ও গাবতলীতে গণপরিবহণ চলছে। মানুষ কর্মস্থলে যাচ্ছে।

তবে গাবতলীতে থেকে দূর পাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর এসব এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে মিরপুর-১০ গোল চত্বরে অন্য স্বাভাবিক দিনের মত গাড়ির জটলা দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশও ব্যস্ত। মানুষ কর্মস্থলে চলেছে। এখানে সকাল থেকে কোনো পিকেটারের কোনো তৎপরতার দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী শান্তি সমাবেশের ট্রেন্টগুলোতে বসার জন্য চেয়ার থাকলেও কোনো মানুষ দেখা যায়নি।

সকালে মিরপুর-১০ নম্বরের চিত্র।  ছবি: বাংলানিউজ

মিরপুর-১, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আইডিবি ও কলেজগেটে চলমান হরতাল-অবরোধের অন্যান্য দিনের চেয়ে গণপরিবহনের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডের জটলা পেছনে কল্যাণপুরের ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল, রিকশা-অটো রিকশার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মত। বিজয় সরণিতে দেখা গেছে সেই চির চেনা চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট এবং চন্দ্রিমা উদ্যান পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন।

তবে অবরোধ কর্মসূচির অন্যান্য দিনে রাজধানীর সড়কে যেভাবে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে, রোববার সকালের এমনটা দেখা যায়নি।

মিরপুর-১৩ ও ১১ নম্বর সেকশনের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার খুলেছে। শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। আবার কর্মচঞ্চলতায় মুখর হয়েছে মিরপুরের এই পোশাক শিল্প এলাকা।

গাবতলি বাসস্ট্যান্ডের টিকেট কাউন্টার।  ছবি: বাংলানিউজ

তবে, রাজধানীর ভেতরে গণপরিবহনের যে চিত্র দেখা গেছে, গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ দিন এই বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। কোচগুলো সব টার্মিনাল, তেলের পাম্প ও আশপাশে পার্ক করা। অধিকাংশ টিকেট কাউন্টারগুলোয় কোনো মানুষ নেই। কোনো যাত্রীরও দেখা পাওয়া যায়নি।

হরতালে টার্মিনালকেন্দ্রিক কোনো দোকান খুলেনি। অন্য কর্মদিবসে এ সব দোকানে পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী, হকারে সরব থাকে।

এসপি গোল্ডেন লাইনের টিকেট কাউন্টারের মাস্টার মো. আব্দুল্লাহ জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে  ৪/৫টি গাড়ি ছেড়ে যায়। আজ সকালে যাত্রীই নেই। যাত্রী পেলে বিকেলে ‍এক-দুইটা গাড়ি ছেড়ে যেতে পারে।

একই অবস্থা শ্যামলী কোচের। অন্য দিন সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে আটটি গাড়ি ছেড়ে যায়। আজ কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। যাত্রী এলে বিকেলে দুয়েকটি গাড়ি ছেড়ে যেতে পারে। শ্যামলীর কাউন্টারগুলো খোলা রয়েছে। একই অবস্থা দেখা গেলো হানিফ, ফাতেমা, রোজিনা ও রয়েলসের কাউন্টারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
জেডএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।