ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকারের সাক্ষাৎ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকারের সাক্ষাৎ

ঢাকা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সঙ্গে নেপাল ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা মাগার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে ডেপুটি স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সময় থেকেই নেপাল দেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বাংলাদেশের নারী নেতৃত্ব ও নারীর ক্ষমতায়ন বৈশ্বিকভাবে প্রশংসিত।

তিনি বলেন, নেপালে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আমাদের দেশের পর্যটক নেপালে ভ্রমণ করে থাকে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত অনেক জায়গা রয়েছে। পর্যটনে দুই দেশের সহযোগিতা থাকলে খাতটি আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অনেক মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে সেখানেও পর্যটকদের আকর্ষণীয় জায়গা। আমরা আশা করি, দু’দেশের মাঝে দ্রুতই সড়ক-যোগাযোগও স্থাপিত হবে।  

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে ডেপুটি স্পিকার বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচূত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নিরাপদ প্রত্যাবাসন জরুরি।

নেপাল ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা মাগার বলেন, আমি কখনো এর আগে বাংলাদেশে আসিনি। বাংলাদেশ খুবই চমৎকার দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাছাই করা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমার হৃদয়ে রয়েছে। দুই দেশের মাঝে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। এছাড়া দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও চমৎকার। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়ালেখা করছে। দু’দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় নেপালের সংসদ।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু এখন আর কোন নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। নেপাল সবসময়ই এ নিয়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং সমর্থন জানিয়ে যাবে।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-২ এর পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মণ, ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব যোজনা বামজান, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন কুটু উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
এসকে/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।