ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মৌমিতা পরিবহনে আগুনের ঘটনায় চার যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
মৌমিতা পরিবহনে আগুনের ঘটনায় চার যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের বাসে আগুনের ঘটনায় যুবদলের চার নেতাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাসে আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন-ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি মো. দুলু (৪৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন (৩৮), মো. আব্বাস আলী (৩২) এবং মো. আব্দুল লতিফ বিপ্লব (৩৩)।

ডিবি প্রধান হারুন বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি জামাতের ডাকা অবরোধে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুবদলের চারজন নেতাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন ডিবি সদস্যরা।

গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বাসে আগুন লাগানোর পর তাদের নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন এবং অন্যান্য নেতাদের ছবি পাঠিয়েছেন বলেও জানান হারুন।  

ডিবি প্রধান বলেন, কর্মীদের প্রতি বিএনপি নেতাদের নির্দেশ হলো, বাসে আগুন লাগাতে হবে এবং সেটা তাদের বড় ভাইদের পাঠাতে হবে। সেই নেতারা আবার তাদের বড় ভাইদের কাছে পাঠান। যারা গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা আরও কোথায় কোথায় আগুন লাগিয়েছেন তা আমরা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তাদের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত তা জেনে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এতো কিছুর পরেও কেন বাসে আগুন দেওয়া আটকানো যাচ্ছে না এই বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন একটি জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করা বা একটা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বিষয়টা জনমনে তেমন প্রভাব পড়ে না। সাময়িকভাবে হয়তো একটা প্রভাব পড়ে। এই কারণেই দেখা যাচ্ছে অবরোধেও ঢাকা শহরে যানজট। অবরোধ যে আছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্নভাবে এসব ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

বিএনপিকে বিস্ফোরক দ্রব্য কারা দিচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে যুবদলের নেতা আবু সাইদ মিন্টুকে গ্রেপ্তার করার পর আমাদের কাছে এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে যুবদলের নেতারাই এই ককটেলগুলো বানাচ্ছেন।

কুমিল্লা থেকে এবং সীতাকুণ্ড থেকে তারা এসব ককটেলের উপাদান নিয়ে আসেন। এসবের জন্য টাকা দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক। আর যুবদলের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এসব ককটেল বানান। এরপর তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো সরবরাহ করেন বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।  

এদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও সতর্ক করেন ডিবি প্রধান হারুন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
পিএম/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।