ঢাকা, শুক্রবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বাংলাদেশ ও চীনের শিল্পীদের শিল্পকর্মের প্রদর্শনী শিল্পকলায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৮, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
বাংলাদেশ ও চীনের শিল্পীদের শিল্পকর্মের প্রদর্শনী শিল্পকলায়

ঢাকা: বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বের গভীরতা আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো শিল্প-সংস্কৃতির বিনিময়েও দুই দেশের বন্ধুত্ব প্রশংসার দাবিদার।

নতুন করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক দৃঢ়তার প্রমাণ পাওয়া গেল শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় শুরু হওয়া ‘আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে।

‘ওপেনিং নিউ হরিজনস’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন দুই দেশের বরেণ্য শিল্পী ও আলোকচিত্রীরা। রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়নের চিত্র, আবহমান বাংলার রূপের সঙ্গে উঠে এসেছে চীনের চলমান জীবনধারা ও তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি চীনের ঈর্ষণীয় উন্নয়নের নানা গল্প। বাংলাদেশের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও চীনের বন্ধুত্বের দশ বছর পূর্তিতে শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই। চীন ও বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রায় শতাধিক শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার ২ নম্বর গ্যালারিতে ছয়দিনের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আয়োজনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইর সভাপতি মুন্সী ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এরকম একটি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সাথে দুই দেশের তরুণ প্রজন্মও অনেকখানি এগিয়ে গেল। দীর্ঘদিন থেকেই চীন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ছে। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নে সহযোগিতা করেছে। এখানে আমাদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের তরুণদের মধ্যে ঐতিহ্য-সংস্কৃতি জেনে নিতে এবং নিজেদের আরও প্রফুল্ল করতে সহযোগিতা করাই আমাদের এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।

নিসার হোসেন বলেন, এই আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমরা শুধু প্রতিভাবান আলোকচিত্রী এবং শিল্পীদেরই দেখছি না, আমরা আমাদের দুই দেশের অত্যন্ত উঁচু পর্যায়ের বন্ধুত্বকে দেখছি। একটি প্রকৃত বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে আমাদের কী সম্পর্ক সেটিও আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সম্প্রতি আমরা চীনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করছি এবং সেটি করতে গিয়ে আমরা দেখলাম চীনে শুধু চারুকলাই নয়, প্রতিটি বিষয়েই পৃথিবীর প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে। ইউরোপের বহু দেশে গিয়েছি, তারা আমাদের দেখায়, তবে শেখাতে চায় না। কিন্তু চীন আমাদের শেখাতে চায়। তারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে এসেছে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। চীনের এই প্রবণতার জন্য এটি সত্যিই একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আমরা একসাথে কাজ করছি। এটা শুধু এশিয়ার জন্য নয়, আমরা বন্ধুত্বের এবং শান্তির বার্তা সারা বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে চাই! সেক্ষেত্রে আমাদের নিজের এই ঐতিহ্যগুলো নিজেদের মধ্যে বিনিময় এবং জানাশোনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ!

প্রদর্শনীর প্রথম দিনের আয়োজনে দুই দেশেরই অসংখ্য দর্শক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী গ্যালারি। এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ২ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।