ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
খুলনায় প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন

খুলনা: খুলনা জেলা সমাজসেবা দপ্তরের মাধ্যমে ৫০ হাজার ৯৮৭ জন প্রতিবন্ধীকে সুবর্ণ নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সুবর্ণ নাগরিক পরিচয়পত্র দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সারা দেশে প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী রয়েছেন প্রায় ২৯ লাখ।

খুলনা জেলায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন। সারা দেশে শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে এক লাখ জন এবং খুলনা জেলায় প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৭২৭ জন।

৩২তম আন্তর্জাতিক ও ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন’। খুলনা জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক অনিন্দিতা রায়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মীর আলিফ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক সমীর মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এস এম আল-বেরুনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির ও সরদার মাহাবুবার রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ প্যাথলজিস্ট অ্যান্ড স্পেশাল এডুকেটর এর শারমিন জাহান।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিবন্ধী নূর মোহাম্মদ ও মো. আরিফুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের দৃঢ়তার কারণে প্রতিবন্ধীরা এখন আর অবহেলিত নয়, তারা দেশ ও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা আমাদের সম্পদ। আমাদের কাজ হলো তাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করা। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম, বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম, থেরাপিসেবা, সহায়তা দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়মিত বাস্তবায়ন করা হয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী শিশুর প্রতি অভিভাবকদেরও যত্নশীল হতে হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা ১৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে হুইল চেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে নগরীর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।