ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রায়াল রানে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
ট্রায়াল রানে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন

লালমনিরহাট: সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ট্রায়ালে রান করল প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সেই বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন।  

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রায়াল রান করে গাইবান্ধার উদ্দেশে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস।

এর আগে ১৯ নভেম্বর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য তিনটি কোচ লালমনিরহাট স্টেশন প্লাটফর্মে পৌঁছলে আনন্দে ভাসে জেলাবাসী। এটি চালু হলে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে রেলওয়ের বিভাগীয় শহর লালমনিরহাট।  

স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাট রেলওয়ের একটি বিভাগীয় শহর। রেলের শহর হলেও ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে তেমন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন ছিল না। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে লালমনি এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন পায় জেলাবাসী। যা একটি মাত্র রেক (ইঞ্জিন) দিয়ে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে লালমনিরহাট স্টেশন ছেড়ে মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছে পুনরায় একই রেক ফিরে আসে। ফলে রাত্রিকালীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবিধা বঞ্চিতই ছিল রেলওয়ের বিভাগীয় শহর লালমনিরহাট। দীর্ঘ প্রায় একশ কিলোমিটার লম্বা এ জেলার এক কোনায় জেলা সদর। ফলে শহরের লোকজন লালমনি এক্সপ্রেসের সুবিধা পেলেও বাকি চারটি উপজেলা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের তথা ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বঞ্চিত সুবিধা পান না। তাছাড়া দিনে ট্রেন থাকলেও নেই রাতের কোনো আন্তঃনগর ট্রেন। এ কারণে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, সীমান্তবর্তী উপজেলা পাটগ্রামের বুড়িমারী স্টেশন থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলুক। যা ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসা বাণিজ্যের পথ সুগম করবে। জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা সফরে এসে পাটগ্রাম জসিম উদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন।  
প্রধানমন্ত্রীর এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ঘোষণা দেন।

অবশেষে সেই স্বপ্ন পুরনে গত ১৯ নভেম্বর সর্বপ্রথম এ ট্রেনের তিনটি কোচ লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। একে একে সব কোচ ও ইঞ্জিন পৌঁছালে বুধবার বিকেলে ট্রায়াল রান করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রায়ালের যাত্রা শুরু করে গাইবান্ধার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখান থেকে পুনরায় ফিরবে এ ট্রেন।  

আরও পড়ুন: বুড়িমারী এক্সপ্রেসের ৩ কোচ পৌঁছাল লালমনিরহাটে

লালমনিরহাট রেলওয়ে সূত্র জানায়, বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সবগুলো কোচ ও ইঞ্জিন চলে আসায় ট্রায়ালে রান করেছে। ইন্দোনেশিয়ান একটি মাত্র ইঞ্জিনে চলবে এ ট্রেন। ট্রেনটি আপাতত লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে। বুড়িমারী স্থলবন্দর ও বাকি চার উপজেলার যাত্রীদের জন্য আপাত শাটল ট্রেন যুক্ত থাকবে। পরে ডাবল ইঞ্জিন হলে এটি বুড়িমারী স্টেশন পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন থেকে রাত ৯টায় ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তবে কবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে তা নিশ্চিত না হলেও উদ্বোধন করতে রেলভবনে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় রেলভবন।

লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন ট্রায়াল রান করেছে। উদ্বোধনী দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও দ্রুতই যাত্রা শুরু করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ 
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।