ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু, খোঁজ নেই চিকিৎসকের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু, খোঁজ নেই চিকিৎসকের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর ওই হাসপাতালের অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক ওবায়দুল হক গাঢাকা দিয়েছেন।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাজিরখলা গ্রামের বাসিন্দা ও নবজাতকের বাবা শাহিদুল আলম জীবন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীর নূরুন্নাহার প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হয়। গত ৫ ডিসেম্বর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর শিশুটি অনেকটা সুস্থ ছিল। পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখা দিলে একই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ওবায়দুল হককে নবজাতককে দেখানো হয়। তারপর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল, শারীরিক অবস্থা অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসক ওবায়দুল হক আমাদের জানায় নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো। পরে শিশুটির অবস্থা খারাপ রেখে তিনি আমাদের রিলিজ দিয়ে দেন। এই অবস্থায় আমার নবজাতক সন্তানকে বেসরকারি শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই।  

সেখানে চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। আরও আগেই ইনকিউবেটরে রাখা উচিত ছিল। পরে হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রাখা অবস্থায় আমার প্রথম সন্তানটি মারা যায়।  

তিনি আরও বলেন, পরে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। আমি এই ঘটনায় অভিযোগ দেব।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু রোগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. আকতার হোসেন বলেন, শিশুটির জন্মের সময় ওজন কম হয়েছে এবং তার ইনফেকশন হয়েছিল। এই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করা উচিত ছিল। সেই হাসপাতালে থাকায় নবজাতকের অবস্থা খারাপ হয়। পরবর্তীতে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার আধা ঘণ্টার ভেতর নবজাতকটি মারা যায়।

এই বিষয়ে জানতে নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিশু চিকিৎসক ওবায়দুল হকের চেম্বারে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।