ঢাকা: বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দুঃখের বিষয়, একবিংশ শতাব্দীতেও বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
আগামীকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ হতাশা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সবার নিরাপত্তা বিধান, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাই মানবাধিকার। মানবাধিকার একটি বিশদ ও সামগ্রিক বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একবিংশ শতাব্দীতে ও বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানো এবং মানবাধিকার রক্ষায় কমিশনের কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে আরও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি গণমুখী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নিয়মিত গণশুনানি আয়োজন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উপস্থাপন, প্রতিবেদন দাখিল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানবাধিকার বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ প্রেরণ; মানবাধিকার বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন জেলার কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন, শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এমইউএম/জেএইচ