খুলনা: আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসে খুলনায় আলোচনা সভা এবং শ্রেষ্ঠ সাত জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ক্ষণজন্মা মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত। নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নারীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে নারী সমাজকে আলোর পথ দেখান।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। বেগম রোকেয়ার মতো দেশের নারীরা ঘর হতে বাইরে এসে সমাজ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই নারী। সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনীসহ সব পেশাতেই আজ নারীর অবাধ পদচারণা।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুনু ইকবাল বিথার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা মহিলাবিষয়ক দপ্তরের উপ পরিচালক হাসনা হেনা। খুলনা জেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক দপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার দুইজন এবং জেলার পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেওয়া হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার সম্মাননাপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ দুই জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে খুলনার নুরুন্নাহার লিলি এবং সফল জননী খুলনার ফাতেমা আক্তার।
এছাড়া খুলনা জেলার পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ডুমরিয়ার শাপলা ইয়াসমিন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী দাকোপের পূরবী বৈদ্য,সফল জননী ক্যাটাগরিতে দিঘলিয়ার জরিনা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা দাকোপের সাথী বৈদ্য এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় দাকোপ উপজেলার জয়ন্তী রাণী সরদার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এমআরএম/এএটি