ঢাকা: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধের ঘটনায় শাহিদা খাতুন (৬০) মারা গেছেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, শাহিদা খাতুনের শরীর ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দগ্ধ রিজভীর ১০, রাইয়ানের ৮ ও রোজিনার ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবারই মুখমণ্ডল দগ্ধ হয়েছে। এজন্য সবাইকেই আশঙ্কাজনক হিসেবেই দেখা হচ্ছ।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
এরআগে, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন শাহিদা খাতুন (৬০), তার ছেলে রিজভী আহম্মেদ রাসেল (৩৫), তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩৩) ও তাদের ছেলে রাইয়ান আহমেদ (৩)।
রিজভী আহমেদ জানান, তারা চলতি মাসের ১ তারিখে সদর উপজেলা পরিষদের পাশে একটি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় ভাড়া ওঠেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার। তার স্ত্রী গৃহিণী।
তিনি আরও জানান, সকালে তিনি, তার স্ত্রী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। তার বাবা ফজরের নামাজ পড়ে বাইরে গিয়েছিলেন। এসময় তার মা রান্না করার জন্য ওঠেন। চুলা জ্বালাতেই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তার মায়ের শরীর পুরোটাই পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘুমন্ত অবস্থায় তারাও দগ্ধ হন।
রিজভীর বাবা রজব আলী জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়েছিলেন। হাঁটাহাঁটি শেষে ফেরার সময় শুনতে পান তাদের বাসায় বিস্ফোরণে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে তাদের উদ্ধার প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এজেডএস/এসআইএ