কক্সবাজার: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে অপহরণের তিন দিন পর আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ (৭) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ নুর (২১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে শহরের হোটেল-মোটেল জোনে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার নুর উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে।
উদ্ধার মিনহাজ লোহাগড়া উপজেলার চুনতি বাগানপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনদের বরাতে মাহফুজুল ইসলাম জানান, গত দেড় থেকে দুই মাস আগে নুর রামু উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা পরিচয়ে শাহ আলমের ব্যক্তি মালিকানাধীন মুরগির খামারে চাকরি নেন। কাজের সুবাদে মালিকের পরিবারের লোকজন ও শিশু মিনহাজের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে নুরের রোহিঙ্গা নাগরিকের পরিচয় জানতে পারেন মুরগি খামারের মালিক। এ নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর মালিক শাহ আলম চাকরি বাবদ সব লেনদেন পরিশোধ করে তাকে ছাঁটাই করেন। পরদিন ৮ ডিসেম্বর সকালে নুর মালিকের বাড়িতে রাখা ব্যবহৃত জামাকাপড় নিতে আসেন। এসময় তিনি মিনহাজকে ট্রেন দেখানোর কথা বলে ফুসলিয়ে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে নিয়ে নুর কক্সবাজার চলে আসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, শিশু মিনহাজকে স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে এ ব্যাপারে চুনতি পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ শিশুর বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এক পর্যায়ে গত ৮ ডিসেম্বর রাতে মিনহাজের বাবা ফরিদুল আলমকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নুর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এসময় মুক্তিপণ না দিলে শিশুটিকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিশুর বাবা দুই দফায় ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধ করেন। পরে খবরটি কক্সবাজার জেলা পুলিশ জানার পর জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এক পর্যায়ে রোববার রাতে অপহৃত শিশুসহ ঘটনায় জড়িত যুবক কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক কটেজ প্রিন্স রিসোর্টে অবস্থান করার খবরে পুলিশ অভিযান চালায়। এতে কটেজটি থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার ও জড়িত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশুকে স্বজনদের কাছে ও গ্রেপ্তার যুবককে লোহাগড়া থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
এসবি/আরবি
