সিরাজগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেলেন আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চরমপন্থা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ৩১৪ ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র্যাব-১২ সদর দপ্তরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম মণ্ডল ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান।
এক সময় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় চরমপন্থী সর্বহারা দলের সদস্যরা খুন, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় র্যাবের অব্যাহত অভিযানে সে ত্রাসের রাজত্ব ভেঙে পড়ে। অধিকাংশ চরমপন্থী দলের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। অনেকে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। র্যাব-১২ তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।
জনস্বার্থে র্যাব-১২ এর উদ্যোগে চরমপন্থী সর্বহারাদের আত্মসমর্পণের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২১ মে সাত জেলার তিন শতাধিক চরমপন্থী সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে দুই শতাধিক অস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থী সদস্য ও তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করার জন্য র্যাব-১২ ‘উদয়ের পথে’ নামক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
এরপর র্যাব মহাপরিচালক আত্মসমর্পণ করা ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে তার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৩১৪ জনের প্রত্যেকের জন্য এক লাখ টাকা করে অনুদান দেন।
র্যাব-১২ অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন বলেন, আত্মসমর্পণ করা সবাই যাতে সহজেই ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আসতে পারেন, সেই সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে র্যাব-১২ তার আওতাধীন সব জেলার প্রায় ৩৮টি এনজিওর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ ছাড়া তাদের নামে থাকা অন্য মামলাগুলোর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এসআই