ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাবান্ধা বন্দরে পড়ে থাকা ১৯০ টন গম বিনষ্ট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
বাংলাবান্ধা বন্দরে পড়ে থাকা ১৯০ টন গম বিনষ্ট

পঞ্চগড়: দীর্ঘ ছয় বছরের মাথায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ওয়্যারহাউজ পড়ে থাকা ১৯০ মেট্রিক টন পচা গম বিনষ্ট করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।  

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ।

 

এর আগে দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আটক ১৯০ মেট্রিক টন গম ও ৫ মেট্রিক টন ডলোমাইট পাউডার বিনষ্ট করা হয়।

এসময় বন্দরের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদসহ জেলার অ্যাডিশনাল এসপি আমিরুল্লা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী ও ১৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. জামাল হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ভারত থেকে ১৯০ মেট্রিক টন গম আমদানি করেন মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত থেকে গম আমদানির বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আনা হলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ছাড়পত্র না দেওয়া ও ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ডলোমাইট পাউডার মিস ডিক্লারেশন হওয়ায় গমগুলো প্রায় ছয় বছরের মাথায় ধ্বংস করা হয়।

গমগুলো আমদানির পর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র গমগুলোতে নানা রকম ক্ষতিকারক জীবাণু রয়েছে বলে আশঙ্কা করে। পরে তা গমের সেম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকার (খামারবাড়ি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং গমগুলোকে পচা এবং পাঁচটি ক্ষতিকারক জীবাণু আক্রান্ত বলে জানানোর পর বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র গমগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে চিঠি দেয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গমগুলোকে আটক করে রাখে।

স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারত থেকে গমগুলো আমদানির পর স্থলবন্দরের দুটি ওয়্যারহাউজে আনলোড করে রাখা হয়। পণ্যটি প্রায় ছয় বছর যাবত ওয়্যার হাউজে পড়ে থাকায় পোকার আক্রমণে গমগুলো বিনষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি তাদেরকে বারবার চিঠি দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এই গমের স্তূপ কেন্দ্রিক পোকামাকড়, ইঁদুর ও বিষধর সাপের উৎপাত অসহনীয় পর্যায়ে পড়ে যায়। বিনষ্ট গমের দুর্গন্ধে ওয়্যার হাউজের কর্ম পরিবেশ দূষিত হয়ে বন্দরে, কর্মী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দেয়।

এছাড়া প্রায় ছয় বছর যাবত পড়ে থেকে দুটি ওয়্যারহাউজের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রাখায় একদিকে চলমান পণ্যের জন্য স্থান সংকুলান করা যাচ্ছিল না। অপরদিকে বন্দর তথা সরকার নিয়মিত বন্দর মাশুল ও ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হওয়ায় বন্দর কমিটির নির্দেশে গমগুলো বিনষ্ট করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।