ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বধ্যভূমিতে গণহত্যার প্রতিকৃতি তুলে ধরলো খেলাঘর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
বধ্যভূমিতে গণহত্যার প্রতিকৃতি তুলে ধরলো খেলাঘর

ঢাকা: নয় মাসের যুদ্ধের শেষ লগ্নে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় দোসররা বুদ্ধিজীবী নিধনে মেতে ওঠে। দেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিহাসের জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধে মেতে ওঠে তারা।

দেশের সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যার পর রায়ের বাজার এলাকায় ফেলে রাখে। কারও লাশ শনাক্ত হয়, চেহারা বিকৃত হওয়ায় অনেকের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

প্রতি বছরের মতো এবারও রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার সেই বীভৎসতা ‘গণহত্যার প্রতিকৃতি’ আয়োজনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।  

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

মূলত নতুন প্রজন্মের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস তুলে ধরতেই এ কর্মসূচি পালন করে খেলাঘর। ১৯৫২ সালের ২ মে যাত্রা শুরু খেলাঘরের।

এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধে প্রদীপ প্রজ্জালন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।  

ভোরে স্মৃতিসৌধের মূল বেদীর পাশে গণহত্যার প্রতিকৃতি তৈরি করে সংগঠনের শিশুরা। অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রয়াস থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের সূর্য সন্তানদের বিভিন্ন জায়গা থকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যার পর এখানে ফেলে রাখে। তাদের এ বর্বরোচিত ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি বেশি জানাতে হবে। এরমধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশপ্রেমিক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা ও আবদুল মতিন ভূঁইয়া, গোবিন্দ বাগচি, আসমা আব্বাসি উর্মি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
ইএসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।