ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লবণের বস্তায় মিলল ৯০ কোটি টাকার ‘আইস’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
লবণের বস্তায় মিলল ৯০ কোটি টাকার ‘আইস’

কক্সবাজার: জেলার রামু থেকে লবণবোঝাই একটি ট্রাক যাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জের দিকে। পথে তল্লাশি চালিয়ে লবণের একটি বস্তার ভেতরে মিলল ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম মাদক ক্রিস্টাল মেথ আইস।

 

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রামুর মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ওই লবণবোঝাই ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে এ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  

এসব মাদকের বর্তমান মূল্য ৯০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি সদস্যরা।

বিপুল পরিমাণ আইস ছাড়াও নগদ ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ১ বোতল বিদেশি মদ, ১টি ছোরা ও ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে সেই ট্রাক থেকে।  

এসময় দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। তারা হলেন - টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মো. কেফায়েত উল্লাহ (৩৮) এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়া পাড়ার আবু বকরের ছেলে মো. হারুন (২৩)। তারা যথাক্রমে ট্রাকের চালক ও সহকারী।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে বিজিবি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন বিজিবির রামু-৩০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ।

দুজনই মাদক পরিবহন ও পাচারের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ থেকে মাদকের বড় একটি চালান আসার খবরে  বিজিবির রামু উপজেলার মরিচ্যা চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়। এক পর্যায়ে টেকনাফ দিক থেকে আসা লবণবোঝাই একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে লবণের একটি বস্তার ভেতরে কাপড় মোড়ানো অবস্থায় ১৮ কেজি ২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।  
উদ্ধার করা মাদকের আনুমানিক মূল্য ৯০ কোটি টাকা বলে জানান তিনি।

বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, মাদকের এ চালানটির হোতা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল্যারবিল এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আমির হোসাইন (৪১)। শুক্রবার রাতে তাকে আটক করতে টেকনাফের সাবরাংয়ে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। এসময় আমির হোসাইন পালিয়ে যায়।

তার বিদেশে পালানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, বিদেশে পলায়ন ঠেকাতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে আমির হোসাইনের।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা মাদকগুলো নারায়নগঞ্জে নেওয়া হচ্ছিল জানিয়ে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া মাদকগুলো সীমান্তের কোন পথ দিয়ে, কীভাবে পাচার করে আনা হয়েছে এবং কোথায় মজুদ রাখা হয়েছে- এ ব্যাপারে আটকদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সঠিক তথ্য জানতে আমির হোসাইনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে  আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
এসবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।