ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুণীজনদের সম্মাননার মধ্য দিয়ে ধানমন্ডি সোসাইটির ২ দিনের বিজয় মেলার সমাপ্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
গুণীজনদের সম্মাননার মধ্য দিয়ে ধানমন্ডি সোসাইটির ২ দিনের বিজয় মেলার সমাপ্তি

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫৩তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ‘বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’র আয়োজন করেছে ঢাকার ধানমন্ডি সোসাইটি।

দুই দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সেক্টরের ১৫ জন গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে।

এদিন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিজয় মেলা।  

ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে আয়োজিত প্রথম দিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির।  

এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমি। অনুষ্ঠানটির প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি টেকনোলজিস লিমিটেডের ডিজিটাল ওয়ালেট ‘পকেট’।

গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল ‘আনোয়ার গ্রুপ’ ও ‘আনোয়ার ল্যান্ড মার্ক’। ব্রোঞ্জ স্পন্সর হিসেবে ছিল ‘হাইলেবুরি ভালুকা’, ‘মীনা সুইটস’ এবং ‘সিটিজেন ব্যাংক’।  

সিলভার স্পন্সর হিসেবে ছিল ‘ক্লাব ইলিভেন’, ‘পাকিজা সফটওয়্যার’, ‘শেলটেক গ্রুপ’ এবং ‘আলিস গ্রুপ’।  

বাঙালির বিজয়ের ৫৩তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ‘বিজয় মেলা’য় ছিল গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন। এর মধ্যে ছিল বায়োস্কোপ, সাপ খেলা, লাটিম খেলা, বানর খেলা। বিজয় দিবস উপলক্ষে মূলত শিশুদের জন্য এসব খেলার আয়োজন করা হয়।  

এসব খেলায় অংশগ্রহণকারী শিশু মীম বলে, আমি এসব খেলাধুলাতে প্রথম খেলছি। হাড়ি ভাঙা খেলায় হাড়িও ভেঙে পুরস্কার পেয়েছি।  

দ্বিতীয় দিনের বিজয় মেলা উপলক্ষে শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। অংশ নেয় ২০ জন খুদে প্রতিযোগী। এ সময় তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের ইতিহাসের নানান ছবি রঙ তুলির মাধ্যমে ক্যানভাসে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে।

পরবর্তী সময়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মূল আয়োজনের শুরুতে আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো হয়।  

এ সময় ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস ‘পকেট’ কর্তৃপক্ষকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় ধানমন্ডি সোসাইটির পক্ষ থেকে।

‘পকেট’ ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমার্শিয়াল) আহসান জামিল বলেন, ‘পকেট’ মূলত ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ক্যাশলেস সোসাইটিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করার জন্য এবং সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘পকেট’কে আমরা সবার সামনে পরিচয় করাতে চাই। নির্বাচনের পরে ইনশাল্লাহ আমরা ‘পকেট’ পেমেন্ট সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে উদ্বোধন করব। উদ্বোধনের পর ‘পকেট’র সব ধরনের সুবিধাসহ সব কিছু সবার সামনে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি ধানমন্ডি সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ব্যবসা ও সংস্কৃতিসহ পাঁচ বিভাগে ১৫ গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।  

এদের মধ্যে শিক্ষায় গুণীজন সম্মাননা পান শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ জেবা আলী ও ড. সুলতানা কামাল।  

স্বাস্থ্যে সম্মাননা পান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. নাজমুন নাহার ও প্রফেসর ড. মতিউর রহমান।  

ক্রীড়া বিভাগে সম্মাননা পান আব্দুস সাদেক (ফুটবল ও হকি), জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা (ফুটবল ও হকি), মো. সাইদুল হক সাদী (টেবিল টেনিস)।  

ব্যবসাক্ষেত্রে সম্মাননা পান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আমিনা আহমেদ, মনোয়ার হোসেন (আনোয়ার গ্রুপ) এবং সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা পান অভিনেতা আফজাল হোসেন, মামুনুর রশিদ ও মুস্তাফা মনোয়ার।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে ১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
ইএসএস/এনবি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।