ঢাকা: রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে এক শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম সাবরিনা আক্তার শাম্মী (২৮)।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মুগদা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তার বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ডোমকান্দি গ্রামে। তিনি মৃত শাহ হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। স্বামী নিয়াজ হোসেন সাইদির সঙ্গে মুগদার মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসাআই) রফিকুল ইসলাম জানান, সাবরিনা ও নিয়াজ সহপাঠী। ৮-৯ বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পকের পর চলতি মাসের ১৫ তারিখ তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। ভোরে খবর পেয়ে মুগদা হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, সাবরিনা খুব অভিমানি ছিলেন। শনিবার রাতে স্বামীর সাথে সামান্য মনোমালিন্য হওয়ায় সবার অগোচরে নিজের রুমে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। দেখতে পেয়ে স্বামীর পরিবারই তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে নেওয়ার পরপরই চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
এদিকে মৃত সাবরিনার মা শাহনাজ বেগমসহ স্বজনরা জানান, মহানগর আইডিয়াল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। ১৫ দিন আগে তার বিয়ে হয়। কেন সে হঠাৎ করে এমন কাজ করেছে সে বিষয়ে কেউই কিছু অনুমান করতে পারছেন না তারা। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে মরদেহটি নিয়ে যান স্বজনরা।
বাংলাদেশ: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ