রূপগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ -১ রূপগঞ্জের চানপাড়ার সপনা আক্তার নামে এক নারী স্থানীয় সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর এক পথসভায় বলেছেন, যেভাবে আমাদের নেতারা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সেভাবে কাজ করব। আমাদের কেন্দ্র হচ্ছে গাজী বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে ২ হাজার ৯৮৫ ভোট আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাইতপাড়া ইউনিয়নের সপনা আক্তার রাজনীতিতে আসার আগে ২০০৮ সালে মনোরঞ্জন ভিসায় পাড়ি জমান দুবাইয়ে। সেখান থেকে ২০১২ সালে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। রূপগঞ্জের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। সেখান থেকে পরিচয় হয় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। এলাকায় তিনি মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত। তার দুই ভাই বোনকে দিয়ে গড়ে তুলেছেন মাদক সাম্রাজ্য। সপনা আক্তারের বড় বোন সুরমা আক্তার এলাকায় মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে আছে মাদকের বেশ কিছু মামলা। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েকবার। কিন্তু সহজেই সপনা আক্তারের মাধ্যমে গোলাম দস্তগীর গাজী ও রংধনুর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়েছেন বারবার।
সপনা আক্তারের ছোট ভাই মাইনুদ্দিন এলাকার ছিঁচকে চুরি থেকে শুরু করে এখন মাদক কারবারি করে বনে গেছেন অর্থের মালিক। মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে আছে বেশ কিছু মাদক ও ডাকাতির মামলা। সপনা আক্তারের ছোট ভাই মাইনুদ্দিন এলাকায় কয়েক দফা মাদক কারবারিদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ানোর ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন। কিন্তু বারবারই সপনা আক্তার গোলাম দস্তগীর গাজী ও আন্ডা রফিকের সহায়তায় তাদের জেল থেকে বের করেন। জেল থেকে বেরিয়ে আবারো এসব মাদক অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
সপনা আক্তারের বাবা সাত্তার পাগলা এলাকায় ছিলেন পকেটমার। সারাদিন গাঁজা খেতেন তিনি। সপনা আক্তারের ঘরে ফেনসিডিল খেলে একেকজনের দিতে হয় ১৫০ টাকা। প্রতিদিন শতশত মাদকসেবী তার বাড়িতে সারারাত ভিড় জমায়। আর মাদক থেকে কমিশনের টাকা যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পকেটেও। স্থানীরা বলছে, টাকা তোলেন গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা পাপ্পা।