ফরিদপুর: ফরিদপুর-২ আসনের সালথায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার এক সমর্থকের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া পশ্চিম পাড়া চন্ডির ভিটা এলাকায় এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
আগুন দেওয়া বাড়িটি মৃত. এলেম মাতুব্বরের ছেলে আওয়াল মাতুব্বরের।
ভুক্তভোগী আওয়াল মাতুব্বর বলেন, আমার এক ছেলে প্রবাসী এবং এক ছেলে অনার্সে পড়ে। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার সুবাদে আমরা ফরিদপুরে থাকি। প্রবাস থেকে আমার ছেলে বাড়িতে এসেছে। নির্বাচনে তারা দু'জনেই ঈগল মার্কার সমর্থনে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচনে ক্যাম্পিং করার সময় লাবলু চেয়ারম্যানের ভাই আবুল হোসেন ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে মারপিট করার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে আমার ছেলেদের এলাকা ছাড়া করে। এরপর আমি শুক্রবার ভোর রাতে রাত খবর পাই আমার বাড়িতে আগুন লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এসে দেখি বিদ্যুতের তার খুলে রেখে তারপর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এটা যে পরিকল্পিত তা বোঝা যাচ্ছে। আমার ছেলে প্রবাসে থাকে, আমরা মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে থাকি। বাড়িতে সকল মালামাল ছিল। এই ঘটনায় আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু ও তার ভাই আবুল হোসেনকে অভিযুক্ত করেছেন ভুক্তভোগী আওয়াল মাতুব্বর।
তিনি বলেন, তাদের নেতৃতেই আমার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তারা আমার ছেলেদের ঈগলের নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার আল্লাহ পাক ও প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিলাম।
প্রতিবেশীরা জানান, আওয়াল মাতুব্বরের পরিবারের কেউ বাড়িতে থাকেন না। রাত তিনটা সাড়ে তিনটার দিকে প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে বের হয়ে আগুন দেখে চিৎকার দিই। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে। তবে তার আগেই সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। কীভাবে আগুন লাগলো তা বলতে পারব না। শীতের দিন আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম।
অভিযোগের বিষয়ে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু বাংলানিউজকে বলেন, আমি এবং আমার লোকজন কেন তার বাড়িতে আগুন দেব? তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়ে আমাদের নামে অপবাদ দিচ্ছে। আমি যাই করি না করি কেন, কখনও মানুষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো অমানবিক কাজ কখনো করিনা ও করতে দিই না।
এই বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৪
কেইউএ/এসএএইচ