ঢাকা: সাধারণত দেশে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে শীত বেশি পড়লে বিক্রি বেড়ে যায় গরম কাপড়ের। তবে এবার শীত বাড়লেও ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরম কাপড় বিক্রি তেমন একটা বাড়েনি।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের গেঞ্জি বিক্রেতা জহিরুল বলেন, শীত পড়লেও বিক্রি বেশি হয় না। ছুটির দিনে একটু বেশি বিক্রি হয়। বেশিরভাগ ক্রেতারা পণ্য দেখে চলে যায়। ৫০ জনকে তার মধ্যে শুধুমাত্র দুইজন ক্রয় করেন। শুক্রবার দিন আমার বিক্রি হয় ৩-৪ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের অন্য দিন সর্বসাকল্য বিক্রি করতে পারি হাজার থেকে ১৫০০ টাকা।
বিক্রি কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ভালো না, মানুষের পকেটে টাকা নাও থাকতে পারে এসব কারণেই হয়তো বিক্রি কম। মানুষের পেটে না গেলে, পিঠে তো আর দিবে না। শীতের কাপড় ক্রয় করা অনেকটা এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিশুদের গরম কাপড় বিক্রেতা মো. তানভীর বলেন, আমার বিক্রি একদমই কম। বিকেলে দোকান বসিয়ে মাত্র তিনটি বাচ্চাদের গেঞ্জি বিক্রি করেছি। ছুটির দিনে বিক্রি ভালো হয়। এই দিন ২-৩ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারি। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে অনেক কষ্টে হাজার টাকা বিক্রি হয়।
টুপি ও মোজা বিক্রেতা মো. সাকিব বলেন, শীত পড়লেও মানুষজন কান টুপি ও মোজা কম কিনছেন। শুক্রবার দিন একটু বিক্রি ভালো হয়।
স্বল্প আয়ের বেসরকারি কর্মকর্তা মো. মোরশেদ। ১০ নম্বর গোল চত্তরে এসেছিলেন হুডি বা মোটা গেঞ্জি কিনতে। কিনবেন ভাই ও ছেলের জন্য। মোরশেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মত নিম্নের মানুষদের ব্র্যান্ড বা শোরুম থেকে শীতের কাপড় কেনার বাজেট নেই। সমর্থ্য অনুযায়ী ভ্যান থেকে গরম কাপড় কেনার চেষ্টা করছি। সমর্থর মধ্যে হয়ে গেলে কিনব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শোরুমে একটু ভালো মানের গেঞ্জি কিনতে গেলে গুনতে হবে হাজার টাকারও বেশি। সামর্থ্য অনুযায়ী ফুটপাত থেকে কেনার চেষ্টা করছি, তাও দাম বেড়েছে। যেই মোটা ও হুডি গেঞ্জির দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। ভ্যান বিক্রেতারা দাম চাইছে ৩০০ টাকা। আমরা শীতের কাপড় কিনবো না পরিবার নিয়ে কিছু খাব। এই দোটানোর মধ্যেই যাচ্ছে আমাদের দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এমএমআই/এমএমআ