নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুয়াশা আর তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছেন মানুষ। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা।
সূত্র জানায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বোরো বীজতলা তৈরি করেন কৃষকরা। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে কুয়াশা আর তীব্র শীতে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্টের পথে। কুয়াশা থেকে বাঁচতে বীজতলায় পলিথিন ব্যবহার করেও লাভ হচ্ছে না তাদের। চলতি মৌসুমে অধিকাংশ কৃষককে চারা কিনে ধান রোপণ করতে হবে। সরকারিভাবে সাহায্য-সহযোগিতা না করলে অনেক কৃষকই লোকসানের মুখে পড়বেন।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, কুয়াশা পড়ে বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এবার চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের কৃষক হেলাল উদ্দিন জানান, এবার এক বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু গত সাত থেকে আটদিন ধরে কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় বীজতলার করুন অবস্থা। পলিথিন মোড়া দিয়েও কাজ হচ্ছে না। সাত থেকে আটদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করায় বীজতলার গোড়া পঁচে যাচ্ছে। এভাবে আরও দুয়েকদিন তাপমাত্রা ওঠানামা করলে আবাদ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন জানান, এবার প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যেসব বীজতলা কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলো জমিতে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে বিকেলে পানি বের করে দিতে হবে। এতে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। প্রয়োজনে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন, তারা কৃষকদের সহায়তা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
আরবি