ঢাকা: মাদক সম্রাট মো. শামীম (৩৭)। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তিনি একজন চিহ্নিত মাদককারবারি ও মাদক সম্রাট। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার ও টেকনাফসহ সীমান্তবর্তী জেলা থেকে গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি ও সরবরাহ করতেন। তিনি আন্তঃজেলা মাদক চক্র গড়ে তোলেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ২০১০ সালের ৩ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার গোলাপবাগ এলাকা থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ র্যাবের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার নামে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়।
আবদুর রহমান জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক ছিলেন। ছয় মাস কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে শামীম বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। কখনও রিকশাওয়ালা কখনও রাজমিস্ত্রি বা হকার ইত্যাদি ছদ্মবেশ ধারণ করে তিনি আগের মতোই বসবাস করে আসছিলেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামি শামীমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকায় আদালত আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে খিলক্ষেত থানার পূর্বাচল এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
এসজেএ/আরবি