যশোর: যশোর শহরের খড়কী এলাকায় শিশু আয়েশা খাতুন (২) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা পারভীন সুলতানাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। মামলায় আসামি নিহত শিশু আয়েশা খাতুনের সৎ মা পারভীন সুলতানাকে (২৬) আসামি করা হয়েছিল।
আসামি পারভীন সুলতানা সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার নুরনগর গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে যশোর শহরের খড়কী ধোপাপাড়ার লরেন্স রায়ের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে এবং ওয়াসকুরুনী ওরফে পিন্টুর স্ত্রী।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৩ জানুয়ারি দুপুরে শিশু আয়েশা খাতুন ও তার বড় ভাই ঘরে ছিল। এ সময় তাদের সৎ মা পারভীন সুলতানা ছেলেটিকে খেলতে বাইরে যেতে বলেন। পরে আয়েশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার চুল ধরে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করেন। এতে শিশু আয়েশা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় শিশু আয়েশা হত্যার মোটিভ ভিন্নখাতে নিতে পারভীন সুলতানা নানা কৌশল করেন।
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, শিশু আয়েশার বাবা ওয়াসকুরুনী ওরফে পিন্টু ঘটনার দিন সকালে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে বাড়ি থেকে বের হন। আয়েশা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় পারভীন সুলতানা তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে অপারগতা প্রকাশ করতেন, তবে স্বামীর চাপের মুখে তাকে দেখাশোনা করতে বাধ্য হতেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশু আয়েশা খাতুন ও তার ভাইকে নিয়ে মা জান্নাতুল ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এর মধ্যেই তাদের বাবা ওয়াসকুরুনী ওরফে পিন্টুর সঙ্গে পারভীন সুলতানার পরকীয়া সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও পিন্টু প্রথম স্ত্রীর কাছে আসা যাওয়া করতেন। পরে তাদের মধ্যে মনোমানিল্য হলে ছেলে-মেয়েকে বাবার কাছে রেখে চলে যান জান্নাতুল।
** সৎ মায়ের নির্যাতনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
ইউজি/আরএ