বগুড়া: বগুড়ায় আজ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হওয়ায় জেলার সব বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন মাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম।
জেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এক হাজার ৬০৩টি। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৪৯টি, মাদরাসা ৩০৭টি, স্কুল ও কলেজ আছে ৩১টি।
বগুড়া শহরের জিলা স্কুল, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দি সিটি গার্লস হাইস্কুলসহ আরও বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। তবে ১টা-২টা ক্লাস হওয়ার পর ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তারা ক্লাস বন্ধ করে দেন। এরপর স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়। এদিকে, খোঁজ নিয়ে জেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্রই এরকম পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, তীব্র শীতের কারণে স্বাস্থ্য বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা জানতাম না। যে কারণে সন্তানকে নিয়ে স্কুলে এসেছিলাম। এখন যেহেতু জানতে পেরেছি। বাসাই নিয়ে যাচ্ছি। তবে শৈত্য প্রবাহ কত দিন চলবে, কতদিন স্কুল বন্ধ থাকবে এটার জন্য একটা নির্দেশনা দিলে আমাদের ভালো হয়। না হলে সকালে এসে জানতে পারলাম স্কুল ছুটি। আবার কাল হয়ত স্কুল খোলা থাকবে তখন জানতে পারবো না। একেবারে নির্দিষ্ট করে ছুটির সময়সীমা বেধে দিলে সুবিধা সবার জন্য।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী বলেন, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে স্কুল ছুটির নির্দেশনা আমাদের আজকে সকালে জানানো হয়েছে। এরপর আমরা স্কুল ছুটি দিয়েছি। কতদিন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটি তো আমাদের হাতে নেই। এটি শিক্ষা অফিসের কাছে। আগামীকালের তাপমাত্রা কি হবে এরপর শিক্ষা অফিস থেকে আমাদের ছুটির বিষয়ে বললে আমরা আবার নোটিশ করে দেব।
বগুড়া পুলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু বলেন, শিক্ষা বিভাগ যেভাবে বলবে সেভাবেই পরিচালনা করা হবে। আজকে সকালে মাধ্যমিক শাখার ব্যাপারে একটা নির্দেশনা আসছে, এজন্য আমরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। তারা হয়ত আমাদের বিকেল ৪টার মধ্যে আমাদের জানাবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এরপর আমরা নোটিশ করব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুধু আজকের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। আগামীকালকেও যদি তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে সে ক্ষেত্রে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস থেকে তথ্য নিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আজকে যেমন শিক্ষার্থীরা আসার পর ফিরে গেছে এরকম যেন না হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করবো।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, আজকে সকালে আবহাওয়া অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস জানার পর স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই নির্দেশনা সব স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি রাজশাহীতে যাচ্ছি। সেখানে আমাদের মিটিংয়ে শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতদিন বন্ধ থাকবে, কবে খোলা হবে এসব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
কেইউএ/এসএম